প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি
প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি
“নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী” আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মহান খেতাবে তখনই ভুষিত হন, যখন নৈতিকতা ছিল চরম অবক্ষয়ে নিমজ্জিত। জুলুমঅত্যাচারের যাতাকালে মানব ও মানবতা হয়েছিল নিষ্পেষিত-নির্যাতিত। গোটা সমাজ ব্যবস্থায়। মানুষ হয়ে পড়েছিল অধিকার বঞ্চিত। এরূপ চরম সংকটে অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিকে আলো দান ও সঠিক পথের দিক নির্দেশনার জন্য আলোকবর্তিকা ও রহমতস্বরূপ আবির্ভূত হয়েছিলেন এই মহামানব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মানবতার মুক্তি ও উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্তে তিনি। স্থাপন করেছিলেন মক্কায় দারুল আরকাম ও মদীনায় দারুস সুফফা নামে দুটি ইলম ও আমলের মারকাজ। আর তার কণ্ঠে ঘোষিত হল- ‘মাকারিমে আখলাক তথা উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা দানের লক্ষ্যে আমি শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি তার এই ঘোষণায় সাড়া দিয়ে সেদিন যারা দারুল। আরকাম ও দারুস সুফফায় সবক গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। সেই সাহাবায়ে কেরাম পৃথিবীর ইতিহাসে সোনালী যুগের সোনালী মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। বর্তমান সমাজে আবারও যখন মানবতা চরম অধঃপতনে নিপতিত, ঠিক সেই মুহূর্তে বিশ্বনন্দিত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের স্রোতধারায়, আকাবির ও আসলাফের নকশে কদমে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে জাতির সম্মুখে আত্মপ্রকাশ করল মারকাযুল ফিকরি ওয়াদ দা‘ওয়াহ।
অস্থান:
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের সন্নিকটে গোপিবাগ কেন্দ্রিয়ো মসজিদের পাশের গলি ৮৩/৩ নাভিলা মন্জিলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মারকাযুল ফিকরি ওয়াদ দা‘ওয়াহ
প্রতিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠানের নাম করণ
জামিয়া মাহমুদিয়া ইসহাকিয়া মানিক নগর মাদ্রাসার ১৪৩৯-৪০ হিজরী মোতাবেক ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ শিক্ষাবর্ষের দাওরা হাদীস (মাস্টার্স) সমাপনী ছাত্রদের মধ্য থেকে কিছু ছাত্র রমযান মাসের পর মুফতী মুশতাক আহমাদ আল মাদানী দা: বা: এর নিকট ইফতা পড়তে চাইলেন । হুজুর তখন মানিক নগর মাদ্রাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মুফাস্সির হিসাবে খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। মানিক নগর মাদ্রাসায় ফতোয়া বিভগ না থাকার কারণে হুজুর তাদেরকে পাশের মাদ্রাসার এক ফতোয়া বিভাগে ভর্তি করিয়ে দিলেন। কিন্তু সেই ফতোয়া বিভাগে থাকার পরিবেশ ও অন্যান্য অবস্থা তাদের অনুকুল না হওয়ার কারণে তারা পুনরায় মুফতী মুশতাক আহমাদ আল মাদানী দা: বা: এর নিকট শাওয়াল মাসের ২৫ তারিখে এসে জোরদার আবেদন করলেন, আমরা আপনার নিকটেই ইফতা পড়ব অন্য কোথায় নয়। তাই আপনি যদি আমাদেরকে যে কোন জাগায় থাকার ব্যবস্থা করে ইফতা পড়ার সুযোগ করে দিলে ভালো হয়। তাদের বার বার আবেদনের কারণে হুজুর এক পর্যায়ে রাজি হয়ে আল্লাহর উপর ভরষা করে গোপিবাগ ৮৩/৩ নাবিলা মন্জিলের ৬ষ্ঠ তলায় ফ্লাট ভাড়া নিয়ে সেই বৎসর শাওয়াল মাসে ফতোয়া বিভগ ১৩ জন ছাত্র দ্বারা চালু করলেন। যেহেতু ফতোয়া বিভাগে ইসলামী গবেষণা করে থাকে সেই হিসাবে প্রথমে তার নাম রাখা হলো মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী গোপিবাগ ঢাকা। দুই বৎসর পর যখন দেখা গেলো এই নামে দেশে একাধিক প্রতিষ্ঠান আছে তাই মাদ্রাসার মুরুব্বি মুফতী রফিকুল ইসলাম আল মাদানী সাহেব দা: বা: ও মাদ্রাসার অন্যান্য আসতিযায়ে কেরামের পরামর্শে পরবর্তিতে মারকাযের পূর্বের নাম কিছুটা পরিবর্তন ও পরিবর্ধণ করে তার নাম করন করা হয়, “মারকাযুল ফিকরি ওয়াদ দা‘ওয়াহ” (উচ্চতর ইসলামী গবেষণা ও দা‘ওয়াহ বিভাগ)