• +88 01914737599
  • markazul.bd@gmail.com
  • মিয়াজান লেন, মানিকনগর, ঢাকা- ১২০৩

প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি

মানুষকে চেনা যায় তার কর্মের মাধ্যমে কর্মই মানুষকে স্বরণ রাখে অনন্তকাল। কর্মের কারণে চিরদিন স্বরণ করে তাঁকে যুগসচেতনতা ও প্রতিভা দিয়ে দেশ-বিদেশের খেদমত আন্জাম দিয়ে যান িনরবধি কিছু মানুষ তেমনি একজন বিজ্ঞ মানুষ হলেন আল্লামা মুফতী মুশতাক আহমাদ আল মাদানী সহেব দা: বা: তিনি একাধারে লেখক, সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস। তার সুনাম সুখ্যাতি দেশ ও বিদেশের মাটিতে রয়েছে।

জন্ম:
১৭ পৌষ ১৩৮৭ বাংলা, রোজ সোমবার ০১-০১-১৯৮০ সালে মুন্সিগন্জ জেলার আলমপুর গ্রামে ঐতিহাসিক শেখ বংশে জন্ম লাভ করেন।
উস্তাদের নাম মুফতী রফীকুল ইসলাম আল মাদানী সাহেব দা: বা: । উস্তাদের নামে নিসবত করে আল মাদানী বলা হয়।

স্থায়ী ঠিকানা:
আলমপুর শেখর নগর, শ্রী নগর, মুন্সিগন্জ (বিক্রমপুর)।

শিক্ষা জিবন:
আস্তে আস্তে বড় হয়ে যখন তিনি লেখা পড়ার বয়োসে উপনিত হলেন তখন সন্মানিত পিতার নিকট আরবী অক্ষর জ্ঞ্যান ও কোরআন তেলাওয়াত শিক্ষা করেন। আর বাংলা অক্ষর জ্ঞ্যান ও বানান শিক্ষা তার ভাই আব্দুল ওয়াজেদের নিকট শিক্ষা করেন।

বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত ও নামাজের জরুরী মাসআলা শিক্ষা করার পর ১৯৮৭ সালে পাশের বাড়ির একজন নামজি বৃদ্ধা মহিলাকে নিয়ে নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীতে ভর্তি হন। সেই বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করে মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করিন প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর পিতার পরামর্শে ও নিজ আগ্রহে ১৯৯১সালে আলম পুর শামসুল উলুম কওমী মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে ভর্তি হয়ে তাইসীর জামাত পর্যন্ত সুনামের সাথে লেখা পড়া করে মাদ্রাসার মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। অতঃপর ১৯৯৩ সালে তার সুনাম ধন্য উস্তাদ মাওলানা মুসলিম উদ্দীন (রহ:) বলেন মুশতাক যত দূর তত নূর বলে গেছেন ছদর সাহেব হুজুর। তাই আমার পরামর্শ, তুমি (মুজাহিদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদ পুরী (রহ:) ) ছদর সাহেবের গ্রামের গওহর ডাঙ্গা মাদ্রাসায় চলে যাও। অতঃপর তার উস্তাদ মুসলিম উদ্দীন সাহেব (রহ:) নিজে সঙ্গে করে নিয়ে ১৯৯৩ সালে গওহর ডাঙ্গা মাদ্রাসায় মিজান জামাতে ভর্তি করে দিয়ে আসেন। ঐ মাদ্রাসায় হেদায়াতুন্নাহু জামাত পর্যন্ত মুমতাজের সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে অত্যান্ত সুখ্যাতির সাথে লেখা পড়া করে পাশ করেন। নাহবেমীর জামাতের বোর্ড পরিক্ষায় মেধা তালিকায় ১০ স্থান অধিকার লাভ করেন। অতঃপর ১৯৯৬ সালে কাফিয়া জামাত থেকে তাফসীরে জালালাইন পর্যন্ত সুনামের সাথে ঢাকার ঐতিহাসিক জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় লেখা পড়া করেন। কোন কারণ বশত মাদ্রাসার চাটগামী হুজুরের পরামর্শে ছদর সাহবে হুজুরের অন্যতম প্রতিষ্ঠান “জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদা বাদ মাদ্রাসায় মেশকাত ও দাওরা পর্যন্ত সুনামের সাথে লেখা পড়া করে মাদ্রাসায় মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার লাভ করেন। ফরিদাবাদ মাদ্রাসার মুহতামীম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস সাহেব দা: বা: পরামর্শ ও নির্দেশে উচ্চতর ইসলামী গবেষণা বিভাগ বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে ২০০২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সুনামের সাথে লেখা পড়া করে মুমতাজের সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে মুফতী ও মুহাদ্দীসের সনদ লাভ করেন।

কর্ম জীবন:
২০০৬ সালে লেখা পড়া শেষ করার সাথে সাথে বসুন্ধরা মাদ্রাসার প্রধান মুফতী ইনআম সাহেব ও অন্যান্য উস্তাদ গণের নির্দেশে ফরিদ পুর সদরে ঐতিহাসিক খাবাশ পুর মাদ্রাসায় হাদীস পড়ানোর জন্য সিনিয়োর মুহাদ্দিস হিসাবে নিয়োগ হন। সেখানে এক বৎসর সনামের সাথে জামিউত তিরমিযী, মেশকাত শরীফ, ও অন্যান্য কিতাব পড়ান। ২০০৭ সালে ফরিদা বাদ মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম মাওলানা মতিউর রহমান দা: বা: এর নির্দেশে গাজিপুর ঐতিহাসিক বরমী মাদ্রাসায় সিনিয়োর মুহদ্দিস হিসাবে নিয়োগ হন। সেখানে দুই বৎসর হাদীস পড়ান। অতঃপর ২০০৯ সালে রমজান মাসে আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী দা: বা: এর সাথে পরিচয় হন। পরিচয় হওয়ার পরে তিনি নির্দেশ দেন বরমী থেকে চলে আসার জন্য। হুজুরের নির্দেশে জামিয়া মাহমূদিয়া ইসহাকিয়া মানিক নগর মাদ্রাসায় সিনিয়োর উস্তাদ ও মুহাদ্দিস হিসাবে নিয়োগ হন। সেখানে ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সুনামের সাথে হাদীস ও তাফসীর পড়ান। অতঃপর ২০১৯ থেকে নিজের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা “মারকাযুল ফিকরি ওয়াদ দা‘ওয়াহ” এর পরিচালনা ও অগ্রগতির জন্য মানিক নগর মাদ্রাসা থেকে চলে আসেন। এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছেন ………………………………………… ।