• +88 01914737599
  • markazul.bd@gmail.com
  • মিয়াজান লেন, মানিকনগর, ঢাকা- ১২০৩
Uncategorized
শাবান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব

শাবান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব

শাবান মাস: ফজিলত ও গুরুত্ব

শাবান মাস হলো হিজরি বছরের অষ্টম মাস, যা রমজানের পূর্ববর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসে বিশেষ কিছু ইবাদতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ মাসে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি রোযা রাখতেন এবং একে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন।

শাবান মাসের ফজিলত

১️⃣ নফল রোযার বিশেষ ফজিলত
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
❝রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোযা আমি শাবান মাসে রাখি, কারণ এটি রমজানের প্রস্তুতির মাস।❞
(সহিহ বুখারি: ১৯৭০, সহিহ মুসলিম: ১১৫৬)

২️⃣ আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়
হাদিসে এসেছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
❝এ মাসে মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়, তাই আমি চাই যে, যখন আমার আমল পেশ করা হবে, তখন আমি রোযা রাখি।❞
(সুনানে নাসাঈ: ২৩৫৭)

৩️⃣ শবে বরাতের ফজিলত
হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
❝যখন শাবান মাসের মধ্যরাত (লাইলাতুল বরাত) আসে, তখন আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং ঘোষণা দেন— ‘আছে কি কোনো ক্ষমাপ্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোনো রিযিক চাওয়ার ব্যক্তি? আমি তাকে রিযিক দেব। আছে কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি তাকে মুক্তি দেব।’❞
(সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮)

শাবান মাসে করণীয় আমল

নফল রোযা রাখা – বিশেষ করে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে।
নামাজ ও ইবাদতের পরিমাণ বাড়ানো – বিশেষ করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
তওবা ও ইস্তিগফার করা – পাপ থেকে মুক্তি পেতে বেশি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
দু’আ করা – আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য দোয়া করা।

উপসংহার

শাবান মাস হলো রমজানের প্রস্তুতির মাস। এ মাসে ইবাদতের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, নফল রোযা রাখা ও আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি তওবা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের এই বরকতময় মাসের যথাযথ কদর করার তাওফিক দান করুন, আমিন!

🌿 এই পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে সবাই শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারে এবং আমল করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *