📢 যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!

📢 যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!
📜 ফিতরা কী?
ফিতরা বা সাদাকাতুল ফিতর রমজানের শেষে গরিব ও অসহায়দের জন্য ফরজ সদকা। এটি ঈদের আগেই আদায় করা ওয়াজিব, যেন তারাও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।

📖 রাসূল ﷺ বলেছেন:
“ঈদের নামাজের আগে যে ব্যক্তি ফিতরা আদায় করবে, তা কবুল হবে। আর নামাজের পর দিলে তা সাধারণ সদকা হিসেবে গণ্য হবে।” (আবু দাউদ ১৬০৯)

✅ কে ফিতরা দিতে বাধ্য?
যে মুসলিম ব্যক্তি নিম্নোক্ত শর্তগুলো পূরণ করে, তিনি নিজের ও পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের পক্ষ থেকে ফিতরা দিতে বাধ্য—

1️⃣ অর্থনৈতিকভাবে সামর্থ্যবান – যার নিত্যপ্রয়োজনের খরচ, বাসস্থান, পোশাক ও প্রয়োজনীয় সম্পদের অতিরিক্ত কিছু অর্থ বা সম্পদ রয়েছে।
2️⃣ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক – যিনি সোনা, রূপা, নগদ টাকা বা অন্য কোনো সম্পদে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক (সাধারণত ৭.৫ ভরি সোনা বা ৫২.৫ ভরি রূপার মূল্য)।
3️⃣ বয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী – প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তি ফিতরা আদায় করবেন।
4️⃣ নিজের ও পরিবারের ফিতরা দেওয়া দায়িত্ব – যদি কেউ অভিভাবক হন, তবে পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের (স্ত্রী, সন্তান, ছোট ভাই-বোন, দাস-দাসী) পক্ষ থেকেও ফিতরা দিতে হবে।

📌 গরিব বা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ফিতরা দিতে বাধ্য নন। যদি তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, তবে তিনি ফিতরা দিতে বাধ্য নন।

⏳ ফিতরা দেওয়ার সময়:
ঈদের আগেই ফিতরা আদায় করুন! ঈদের নামাজের পর দিলে এটি সাধারণ সদকা হিসেবে গণ্য হবে।

🤲 ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে?
✅ গরিব ও মিসকিন ✅ এতিম ✅ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ✅ পথচারী

🚫 যাদের দেওয়া যাবে না:
❌ ধনী ব্যক্তি ❌ নিজের বাবা-মা, সন্তান, স্ত্রী বা স্বামী

📢 এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে দিন এবং নিজে সময়মতো ফিতরা আদায় করুন!

#ফিতরা #রমজান #যাকাতুল_ফিতর #ইসলাম #ঈদুল_ফিতর