লক্ষ উদ্দেশ্য
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
মারকযুল ফিকরি ওয়াদ দা‘ওয়াহ সম্পূর্ণভাবে দারুল উলুম দেওবন্দের চেতনা, আদর্শ ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রেখে যাওয়া ইলমে নবীর মীরাস গ্রহণের উপযুক্ত কাফেলা তৈরি করে যাওয়াই এর মূল লক্ষ্য। দারুল উলুম দেওবন্দ যে চেতনা ও আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে তা প্রায় দেড় হাজার। বছরের প্রাচীন। নবুওয়তের প্রথম প্রহরে হেরা গুহায় যে প্রদীপ জ্বলে উঠেছিল তারই তাপ ও উত্তাপ সীনা-বসীনা-হৃদয়। থেকে হৃদয়ের ধারায় ১৪ শতাব্দী পেরিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দে সমকালীন রূপ পরিগ্রহ করেছে। সুফফা থেকেই মূলত এ কাফেলার যাত্রা শুরু। দীন ও ঈমানের পথে কুরবানী, মুজাহাদা ও ত্যাগ স্বীকারের অপূর্ব দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলেন আসহাবে সুফফা। সহায়, সম্বল ও অবলম্বনহীন এ কাফেলা নবী-দরবারে পড়ে থেকেছেন। প্রিয়নবীর ইলম ও সুন্নাহর ধারক-বাহক এ পবিত্র কাফেলা দীনের আমানত গ্রহণ করেছেন পরম আস্থা, আগ্রহ ও ভালােবাসায়। এরপর তা পৌছে। দিয়েছেন পরবর্তী কাফেলার কাছে। তাবেয়ীগণ থেকে তা ধারণ করেছেন তাবে-তাবেয়ীগণ। এভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হৃদয়ের পাতায় ধারণ করেছেন ইলমের মহান মীরাস। এ পবিত্র কাফেলার যাগ্যে সদস্য তৈরির মহান লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে মারকযুল ফিকরি ওয়াদ দা‘ওয়াহ।।